• মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৬ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

ভরা মৌসুমেও রাজশাহীতে পাটের মণ ৩ হাজার, খুশি চাষিরা

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২৪  

রাজশাহীর গ্রামেগঞ্জের হাটে-বাজারে পাট কেনাবেচা জমে উঠছে। ভরা মৌসুমেই রাজশাহীতে পাটের মণ প্রায় ৩ হাজার টাকা। এতে খুশি বরেন্দ্রের প্রান্তিক চাষিরা।
জেলার পবা ও বাঘা উপজেলার পাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ থেকে ৩ হাজার টাকা মণ দরে। এখনো মাঠে মাঠে পাট কাটা, জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষি ও শ্রমিকরা।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, এ বছর রাজশাহীতে পাট চাষ হয়েছে ১৭ হাজার ৮৫ হেক্টর জমিতে। গত বছর চাষ হয়েছিল ১৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। গত বছর পানির অভাবে পাট জাগ দিতে ভোগান্তিতে পড়ার কারণে এবার চাষ কমেছে ২ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে।

পাট ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাটে ভোর থেকেই পাটের বাজার জমে উঠছে। তবে সাপ্তাহিক হাটবারগুলোতে বেচাকেনা বেশি। এই পাট কয়েক হাত পেরিয়ে চলে যাচ্ছে পাট প্রক্রিয়াকরণ কারখানাগুলোতে।

ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, গত বছরেও পাটের ভালো দাম পেয়েছেন চাষিরা। এই দাম মৌসুমের শেষের দিকে আরো বেশি ছিল। তবে গত বছর পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। এ কারণে চাষ কমেছে। তবে গত বছরের চেয়ে এই বছর মৌসুমের শুরুতেই প্রতিমণ পাটের দাম গড়ে ২০০ টাকার বেশি রয়েছে। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ধারণা এ বছরও শেষ পর্যন্ত আশানুরূপ পাটের দাম পাবে।

পবার পাটচাষি উজ্জল হোসেন বলেন, পাটের বীজবপনের সময়ে বৃষ্টিপাত ছিল না। ফলে অনেকের পাটের জীব নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। এছাড়া অনেকেই পানির অভাবে পাটের বীজবপন করেননি। সবকিছু পেরিয়েই পাট চাষ করেছেন দেড় বিঘা জমিতে। তবে দুই সপ্তাহ আগেও পাট জাত দেওয়া নিয়ে এক ধরনের দুশ্চিন্তা ছিল। কিন্তু বৃষ্টিপাতের ফলে খাল বিলে পানি আশায় সেই চিন্তা কেটে গেছে। এখন জাগ দিতে আর পানির অভাব নেই।

পাটচাষি আমিরুল ইসলাম বলেন, এবার পাটের দাম বেশি হলেও উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। জমিতে পানি থাকায় পাট কাটা শ্রমিকদের বেশি মজুরি দিতে হচ্ছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই খরচ বেশি।

পাট সংরক্ষণকারী দিঘা গ্রামের ব্যবাসায়ী আজিজুল হোসেন বলেন, পাটের চাহিদা বেশি। এবার অন্য এলাকার চেয়ে পাট কম। স্থানীয়ভাবে পাটকলের যে চাহিদা এখন পর্যন্ত হাটের পাটে তা পূরণ হচ্ছে না। এ কারণে মোকামেও পাটের চাহিদা ভালো।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, এবার পাটের উৎপাদন ভালো আছে। সঙ্গে ভালো দামও আছে। আশা করছি, চাষিরা ভালো লাভবান হবেন।

দৈনিক জামালপুর