• বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ১৮ ১৪৩১

  • || ২৫ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই বছর ধরে অনুপস্থিত এক চিকিৎসক

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২৪  

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেসিওলজিস্ট) অনুপস্থিত রয়েছেন। ওই চিকিৎসকের দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই পদের চিকিৎসা সেবা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। জানা যায়, ২০২২ সালের ২১ মার্চ ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেসিওলজিস্ট) পদে যোগ দেন ডাক্তার ফারহানা সুলতানা। তিনি ৫১৪, দক্ষিণ ইব্রাহিমপুর, থানা- কাফরুল, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, মিরপুর, ঢাকা-এর বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. আব্দুল মতিন। যোগদানের দিনই শুধু তিনি ওই কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এরপর থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি কর্তৃপক্ষকে কিছুই জানাননি। সূত্রে আরো জানা যায়, ওই চিকিৎসক বর্তমানে কোথায় আছেন বা কী করছেন, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ কিছুই জানে না। তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও বিভাগীয় পরিচালকসহ বিভিন্ন দফতরে একাধিকবার চিঠি পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর-এ-আলম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই চিকিৎসকের অনুপস্থিতির কারণে হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনে খুবই সমস্যা হচ্ছে। তবে ওই চিকিৎসকের অনুপস্থিতির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। ডা. ফারহানা সুলতানা মুঠোফোনে জানান, আমি দীর্ঘ ছয় মাস খুবই অসুস্থ ছিলাম। এজন্য ওই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকি। তাই ওই কর্মস্থলে আর যোগদান করব না। বিষয়টি ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ককে তখনই জানিয়ে দিয়েছি।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর