• সোমবার ০৮ জুলাই ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ২৩ ১৪৩১

  • || ৩০ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৫ জনের মৃত্যু, আহত অর্ধশতাধিক সাংবাদিকদের সকল মিথ্যা প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জগন্নাথদেবের ৯ দিনব্যাপী রথযাত্রা উৎসব শুরু দ: কোরিয়া বাংলাদেশে ‘দক্ষ কর্মী’ গড়ে তুলতে ১০০ কোটি টাকা দিবে পুলিশের বার্ষিক আজান ও ক্বিরাত প্রশিক্ষণ শুরু ডিজিটাল সনদ ব্যাংক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ শিক্ষামন্ত্রীর মালয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে ২০সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে বন্যার কারণে সিলেটে ৩৯৮টি প্রাথমিক ও ৭৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ বৈধভাবে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদেরকে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে চায় চীন

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২৪  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রথম চীন সফরে যাচ্ছেন। এ সফর নিয়ে কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার মাও নিং বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায় চীন।      

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্ব গভীর হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন খাতে ফলপ্রসূ ও বাস্তবসম্মত সহযোগিতা অব্যাহত থেকেছে। 

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে মুখপাত্রের প্রশ্নোত্তরগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, ৮ থেকে ১০ জুলাই চীন সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরের বিষয়ে মাও নিংয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে কীভাবে দেখছে বেইজিং? জবাবে মাও নিং বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটা তাঁর প্রথম চীন সফর। শেষবার চীন সফরের পাঁচ বছর পর তিনি এ সফর করছেন। 

সফরে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবেন এবং দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হবে। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে চলে আসা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কীভাবে আরও গভীর করা যায়, উভয়পক্ষের জন্য লাভজনক সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং অভিন্ন স্বার্থের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি নিয়ে মতবিনিময় করবেন দুই দেশের নেতারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগবিষয়ক একটি সম্মেলনেও যোগ দেবেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ৪৯ বছর আগে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্মান ও সমতার সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে উভয়ের জন্য লাভজনক সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে একে অপরকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে। একই সঙ্গে দুই দেশ সম্মিলিতভাবে আধুনিকায়নের দিকে এগিয়েছে। 

তিনি বলেন, চীন ও বাংলাদেশ ভালো প্রতিবেশী, ভালো বন্ধু ও ভালো অংশীদার। আমাদের একই ধরনের উন্নয়ন লক্ষ্য ও সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়ন কৌশল রয়েছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সাতটি উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বালানির একটি এবং বিদ্যুতের ছয় প্রকল্প। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-মহেশখালী এলএনজি পাইপলাইন। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাজেট-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, মহেশখালীতে সাগরের তলদেশ দিয়ে আরেকটি এলএনজি পাইপলাইন নির্মাণ এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সঞ্চালন-বিতরণসংক্রান্ত ছয়টিসহ মোট সাতটি প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে চীনকে। জিটুজি পর্যায়ে এসব প্রকল্পে বিনিয়োগের বিষয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরে চীন রাজি হলে সমঝোতা চুক্তি হতে পারে। সবমিলিয়ে চীনের কাছে এক বিলিয়ন ডলারের ঋণ ও বিনিয়োগ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। 

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দুটি এফএসআরইউ (ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল) রয়েছে, আরও দুটি আসবে। এখন দৈনিক ১১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস আসছে এলএনজি থেকে। ২০২৭ সালে দৈনিক চাহিদা দাঁড়াবে ৬০০ কোটি ঘনফুট। এই বিপুল আমদানি করা গ্যাস সরবরাহে বিদ্যমান এলএনজি পাইপলাইনের সমান্তরাল আরেকটি পাইপ বসানো হবে। 

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার সমকালকে জানান, বর্তমানে ৩০ ও ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের দুটি পাইপলাইন রয়েছে। এলএনজির সক্ষমতা বাড়লে আরও লাইন প্রয়োজন হবে।সেজন্য ৫২ বা ৫৬ ইঞ্চির একটি পাইপলাইন বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পাইপলাইনটি মহেশখালী থেকে ঢাকা পর্যন্ত আসবে। এতে এলএনজি সরাসরি ঢাকায় পৌঁছবে। জিটিসিএল এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করছে। 

বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, চীনের কাছে উত্থাপিত বিদ্যুতের প্রকল্পগুলো হলো সঞ্চালন ও বিতরণসংক্রান্ত। নসরুল হামিদবলেন, বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থার আধুনিয়কান করা হবে। বিশেষ করে পল্লি অঞ্চলে বিতরণ ব্যবস্থা অনেক দুর্বল, সেগুলোর মানোন্নয়নের কাজ চলছে। এজন্য বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন। চীনের কাছে এ বিষয়ে সহযোগিতা চাইবে বাংলাদেশ।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর