• বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৮ ১৪৩১

  • || ০৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দুদকের অনুসন্ধানে ফিরেছে গতি

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২৪  

একটি অভিযোগের অনুসন্ধান শেষ করতে ২০ বছর লেগেছে। আবার দীর্ঘ সময় পর অভিযোগ প্রমাণের পরও দোষীদের কয়েক দফা দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এমন নজিরও আছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। কচ্ছপের গতিতে চলা সেই দুদক যেন ঘোড়ার ওপর সওয়ার হয়েছে। গত এক সপ্তাহে অর্ধশতাধিক মন্ত্রী, এমপি ও ব্যবসায়ী দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। অনুসন্ধানের কালোতালিকায় আরও অন্তত শতাধিক দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপি, আমলা, পুলিশ ও ব্যবসায়ীর নাম। 

অনুসন্ধান তালিকায় নাম আসাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের। এ ছাড়া রয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, গোলাম দস্তগীর গাজী, জাহিদ আহসান রাসেল, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শাজাহান খান, হাছান মাহমুদ, কামরুল ইসলাম ও হাসানুল হক ইনু।

দুদকের এই রকেট গতি দেখে চোখ কপালে তুলেছেন কমিশনের অনেক কর্মকর্তা। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরই কমিশনের গতি বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলেন দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মকর্তা বলেন, দুদক এখন যাদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার বেশির ভাগ অভিযোগই অনেক আগের। তাঁদের অনেকের দুর্নীতির প্রমাণও রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে সরকারের চাপের মুখে কর্মকর্তারা এসব তদন্ত করতে পারেনি। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা হলফনামায় যে সম্পদের বিবরণ পেশ করেছিলেন, সেখানে আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ বেড়েছে এমন অন্তত দেড় শ সাবেক, বর্তমান সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীর নাম আলোচনায় উঠে আসে তখন। তবে নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের ইমেজের কথা চিন্তা করে বিষয়টি সামনে আনতে চাননি দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ আড়াই বছরে দৃশ্যত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি তিনি। উল্টো অন্তত এক ডজন এমপির দুর্নীতি করেনি জানিয়ে ক্লিন সার্টিফিকেট প্রদান করেন।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই মুহূর্তে কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করার কেউ নেই; ফলে কাজটা তারা করতে পারছে, তাই আমরা চাই এসব প্রতিষ্ঠানে যেন নিরপেক্ষ লোক নিয়োগ দেওয়া হয়।

দৈনিক জামালপুর