• বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

তহবিল অপচয় বন্ধ, দুর্নীতি দমন সরকারের মূল লক্ষ্য

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজ বলেছেন, বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে তহবিলের অপচয় ও অপব্যবহার বন্ধ করা এবং উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি দমন করার পাশাপাশি, মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে রাখা। তিনি বলেন,‘উন্নয়ন বাজেটের  আকার বৃদ্ধি অপেক্ষা উন্নয়ন কাজের মান কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, সেটাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল তহবিলের অপচয় ও অপব্যবহার বন্ধ করা এবং দুর্নীতি দমন করা। এটা করতে গিয়ে, যদি ব্যয় কম থাকে এবং বাজেটের আকার ছোট করা হয়, তাতে আমি কোন সমস্যা দেখছিনা।’
তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম একনেক সভা শেষে  আজ নগরীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় এনইসি সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংকালে  সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে  তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের সমষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা কঠিন সময় পার করছে । তবে তিনি আশা করছেন, বিনিময় হার একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আসবে যখন অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহও গতি পাবে। তিনি বলেন ‘মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য, কোথাও কোথাও  ঘাটতি বাজেট ধারন করা যায়। কিন্তু আমাদের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এটা খুবই...খুব প্রয়োজনীয়।’ বর্তমান এডিপি আকার কতটা ছাঁটাই করা হবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সরকারএই মূহূর্তে তহবিলের সম্ভাব্য উৎস সম্পর্কে এখনও অস্পষ্ট, তাই  বাজেট পুরনের জন্য তা স্পস্ট করে বলা যাচ্ছে না।  এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, কয়েকদিন আগেও তারা জানতেন না যে বিশ্বব্যাংক নতুন করে ১ বিলিয়ন তহবিল সহায়তা দেবে।  স্থগিত থাকা বিভিন্ন প্রকল্পে তারা এ সহায়তা করবে।  বাজেট সহায়তা হিসেবে  বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ড. মাহমুদ বলেন, ইউএসএআইডিসহ সব উন্নয়ন সহযোগী সরকারের নতুন উন্নয়নে তহবিল দিতে তাদের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে, এমন কি চলমান প্রকল্পগুলো  চালিয়ে যেতেও অর্থায়নে তাদের কোন  সমস্যা নেই। নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার সম্ভাব্য উৎস বিশ্লেষণের মাধ্যমে সাবধানে এবং ধীরে সুস্থ্যে এগোবে এবং প্রায় পাঁচ মাস পরে এডিপি’র সংশোধিত আকার নির্ধারন করা সম্ভব হবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানান, বিগত দিনে  রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ইচ্ছেমত নেওয়া অনেক প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বছরের পর বছর ধরে  ঝুলে আছে । এমনকি ঠিকাদাররা তাদের ইচ্ছামতো কাজ সম্পন্ন করায়, প্রকল্পের অপব্যবহারে সময় ও ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে তহবিলের অপচয় হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্প যাচাই এবং প্রণয়ন প্রক্রিয়া প্রায় একই থাকবে। কিন্তু আমরা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব এবং এইভাবে দ্রুত একনেক দ্বারা অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় ফেলবো।  পাশাপাশি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী সংস্থার সামনে  আমরা কিছু সংযুক্ত করব। মূলত সফলভাবে  প্রকল্প বাস্তবায়নই প্রধান বিষয়।’উপদেষ্টা  অভিযোগ করে বলেন, আগে উন্নয়ন প্রকল্পে অযাচিত হস্তক্ষেপ ছিল। একনেকে অনুমোদেনের পর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে কোনো জবাবদিহিতা ছিলনা।

দৈনিক জামালপুর